অফিসের ডেস্ক হোক বা ঘরের স্টাডি টেবিল, সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা খুব জরুরি। সাজানো ডেস্ক দেখলে রোজ কাজ শুরু করতেও সুবিধে হবে। তবে সারাদিনের কাজের চাপে সাজানো ডেস্কও অগোছাল হয়ে যেতে বাধ্য। তাতে অনেক জিনিস কাজের সময় খুঁজেও পাওয়া যায় না। তাই সকলেরই প্রয়োজন কিছু অরগানাইজেশন টিপ্স। স্টেশনারি আলাদা করে রাখুন
ডেস্কের ড্রয়ারগুলো বুদ্ধি করে কাজে লাগান। সব রকম জিনিস মিলিয়ে মিশিয়ে না রেখে একেক ধরনের জিনিস রাখুন একেক ড্রয়ারে। ধরুন একটা ড্রয়ারে শুধুই স্টেশনারি রাখলেন। সেটায় বিভিন্ন আকারের ছোট ছোট বক্স রাখুন। যাতে জেম্সক্লিপ, স্টেপলার পিন, বোর্ড পিন, খাম, পেন, মার্কার সব আলাদা করে রাখতে পারেন। কাঁচি, রঙিন ফিতে, র্যাপিং পেপার, সেলোটেপও হাতের কাছে রাখবেন। লেবেলমেকার ব্যবহার করুন
কোনও জিনিস সহজে খুঁজে পাওয়ার সেরা উপায় সেগুলো লেবেল করে রাখা। ফাইল বা ফোল্ডার লেবেল করে সাল অনুযায়ী গুছিয়ে রাখতে পারেন। তাছাড়াও ডেস্কে একগুচ্ছ ইলেকট্রনিক কর্ড থাকে। কোনওটা ল্যাপটপ চার্জার, কোনওটা ফোন, কোনওটা নোটপ্যাড বা এক্সটার্নাল চার্জারের। এই কর্ডগুলোও লেবেল করে রাখতে পারেন। তবে অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইটে এখন কোয়ার্কি কেব্ল অরগানাইজার পাওয়া যায়। সেগুলো কিনলে আপনার ডেস্ক অনেক পরিষ্কারও থাকবে, আবার সাজানোও।
ডেস্কের উপরটা ছিমছাম রাখুন
একগাদা জিনিস রেখে ডেস্কের উপরে ভিড় করবেন না। তাতে কাজে অসুবিধে হবে। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ছাড়া বাকি যে জিনিসগুলো রাখবেন, সেগুলো যেন বাছাই করা কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস হয়। যেমন আপনার ডেইলি বা উইকলি প্ল্যানার, পেনস্ট্যান্ড, স্ক্রিবলিং প্যাড
আর টু ডু লিস্ট। চাইলে কিছু সেন্টেড ক্যান্ডেল বা ক্যান্ডেল ডিফিউজার রাখতে পারেন। রিল্যাক্স করতে সাহায্য করবে এগুলো।
ডেস্কে আনুন রঙের ছোঁয়া
বোরিং ফ্যাকাসে রঙের জিনিস দিয়ে ডেস্ক ভরে ফেলবেন না। পেনস্ট্যান্ড, স্টেটশনারি, জার্নাল যা-ই ব্যবহার করবেন, তাতে যেন একটু রঙিন ছোঁয়া থাকে। স্টারমার্ক বা স্টোরি থেকে রঙিন সরঞ্জাম কিনুন। একই রকম আইটেম অপছন্দ হলে অনলাইনে খুঁজুন। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট বা প্রপশপ টোয়েন্টিফোর ডটকম’এ পেয়ে যাবেন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি ডেস্কে কিছু ছোট সাইজের ইন্ডোর প্লান্ট রাখতে পারেন। না হলে কাচের শিশিতে রঙিন ফুলও সাজিয়ে রাখতে পারেন। দেখেই মন ভাল হয়ে যাবে! কাজের জায়গায় রাখুন ‘মি কর্নার’
ডেস্কের উপরের জায়গাটা সাজান মনের মতো করে। পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের পোলারয়েড ছবি তুলে মজার কোলাজ বানাতে পারেন। সঙ্গে প্রিয় কোনও পেন্টিং বা ফিল্মের পোস্টার লাগান। কোনও মোটিভেশনাল কোট টাঙিয়ে রাখতে পারেন। বোর্ডপিন বা মজাদার ম্যাগনেট দিয়েও সুন্দর করে সাজাতে পারেন উপরের অংশটা। এক্সপেরিমেন্ট করতে ভয় পাবেন না।