গ্রিনল্যান্ডের একমাত্র রোজাদার ওয়াসিম!
উত্তর আটলান্টিক ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত গ্রিনল্যান্ড পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ। দ্বীপটির অধিকাংশই আর্কটিক বৃত্তের উত্তর অংশে অবস্থিত৷ এটি পশ্চিম দিকে ডেভিস প্রণালী ও ব্যাফিন উপসাগর দ্বারা প্রাথমিকভাবে কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং পূর্ব দিকে ডেনমার্ক প্রণালী দ্বারা আইসল্যান্ড থেকে পৃথক হয়েছে৷
গ্রিনল্যান্ডে রয়েছে তেল, গ্যাস, স্বর্ণ এবং হীরার খনি৷ তবে এগুলো উত্তোলন করা খুবই ব্যয়সাধ্য৷ তবে বিশ্ব-উষ্ণায়নের কারণে বরফ গলতে থাকার ফলে এগুলো উত্তোলন অদূর ভবিষ্যতে আর ব্যয়সাধ্য হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে৷
মেরু অঞ্চলের এ দ্বীপে বড় শহরের নাম ন্যুক। ন্যুকে মুসলিম বলতে সেখানে বসবাসরত লেবানিজ শরণার্থী ওয়াসিম আজাকীরকেই সবাই বোঝে। ন্যুকের একমাত্র মুসলিম তিনি।
ওয়াসিম বহু বছর ধরে আছেন সেখানে। একটি রেস্টুরেন্ট চালান সেখানে। বরফে মোড়া গ্রিনল্যান্ডে সূর্য দু-তিন ঘণ্টার জন্য ডোবে। অর্থাৎ রোজা প্রায় ২২ ঘণ্টা। আজাকির নিজের রেস্টুরেন্টে কাজ করেও রমজানের প্রতিটি রোজাই রাখেন। ইফতারের পর মাগরিব ও ইশা নামাজ ও নিজের খাবার তৈরি করতে করতেই তার দুই ঘণ্টা চলে যায়।
কষ্টকর সিয়ামসাধনার জন্য সংবাদমাধ্যমের হেডলাইন হওয়ার পরও আজাকীরের ভাষ্য মতে, শহরের একমাত্র নামাজ আদায়কারী ও রোজা পালনকারী মুসলিম হতে পেরে সে গর্বিত এবং তিনি কৃতজ্ঞ, আল্লাহতায়ালা তাকে গ্রিনল্যান্ডে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আল্লাহ যত দিন তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তিনি নামাজ রোজা নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করে যাবেন।
তিনি বলেন, মাঝে মাঝে মনে হয় রমজানে গ্রিনল্যান্ড ছেড়ে চলে যাই। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হয়, আমি চলে গেলে শহরে নামাজ রোজা পালন করার আর কেউ থাকবে না, তখন থেকে যাই।
-অন ইসলাম অবলম্বনে
Like this:
Like Loading...