ভুল দেহভঙ্গি ও অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস থেকে অধিকাংশ ঘাড়ব্যথার উৎপত্তি। দৈনন্দিন জীবনে কাজকর্মের নানা ভুলের কারণে ঘাড়ে ব্যথা, ঘাড়ে টান লাগা, স্নায়ুর ওপর চাপ লাগার কারণে হাত ঝিনঝিন করা বা হাত অবশ হয়ে আসার মতো সমস্যাও হতে পারে। অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করলে আপনি স্বস্তি পাবেন।
পিঠ-ঘাড় সোজা করে শোবেন। ঘাড় বাঁকিয়ে জবুথবু হয়ে শোবেন না। একনাগাড়ে একপাশে ভর দিয়ে শুয়ে থাকা ঠিক নয়। মাঝেমধ্যে পাশ পরিবর্তন করুন। মাঝারি পুরুত্বের একটিমাত্র বালিশ ব্যবহার করবেন। বালিশে চাপ লেগে একপাশ দেবে গেলে বালিশের অন্যপাশে মাথা রাখুন। একেবারে পাতলা বালিশ ব্যবহার করা যেমন ঠিক নয়, তেমনি বালিশ ছাড়া শোয়াও উচিত নয়।
কম্পিউটারে কাজ করার সময় ঘাড় সোজা রাখবেন। কম্পিউটারের মনিটর রাখতে হবে নিজের চোখ বরাবর ঠিক সামনে। ঘাড় কাত করে বা কি-বোর্ডের দিকে ঝুঁকে কাজ করা যাবে না। শোয়া বা আধশোয়া হয়ে টিভি দেখা বা ল্যাপটপ ব্যবহার করলেও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
অফিসে কাজের সময় চেয়ারে হেলান দেওয়ার স্থানটিতে ঘাড়সহ পুরো পিঠ সোজাভাবে আরামদায়ক অবস্থায় রাখতে হবে। টেবিল ও বসার স্থানের দূরত্ব যেন খুব বেশি না হয়। টেবিল খুব বেশি নিচু হলে ঘাড় নিচু করে কাজ করতে হয়, এতে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
পড়ালেখার সময়ও টেবিল-চেয়ারের বিষয়গুলো খেয়াল রাখা প্রয়োজন। উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ালেখা করা ঠিক নয়।
দূরে যাত্রা করার সময় গাড়ির পেছনের দিকে না বসে সামনের দিকে বসা ভালো। গাড়িতে ঝাঁকুনি লাগলে ঘাড়ব্যথা হতে পারে। গাড়িচালক গাড়ির আসনে যেন ঘাড় সোজা করে ঠেস দিয়ে রাখতে পারেন, এমন ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।
মাথার ওপর ভারী জিনিস ওঠানোর কাজ এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত ভারী ব্যাগ বহন করবেন না।