জার্মান নাগরিক শেমিজওয়া তমাস গোরাওতোভিজের ওপর নির্যাতন করার অভিযোগ করেছে বাংলাদেশে দেশটির দূতাবাস। তারা বলেছেন, কাশিমপুর কারাগারে বন্দী জার্মান নাগরিক শেমিজওয়া তমাস গোরাওতোভিজকে অমানবিক আচরণ ও মারধর করা হয়েছে।
জার্মান দূতাবাসে জার্মান নাগরিকের এই মামলা দেখভালের দায়িত্বে থাকা কাউন্সেলর অফিসার সম্প্রতি গোরাওতোভিজকে দেখতে কাশিমপুর কারাগারে যান।
ওই সময় কাউন্সেলর তাঁর দেহে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান বলে জানিয়েছেন। তাঁর হাত-পায়ে বড় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। তাঁর বাঁ হাঁটু প্রচণ্ড ফুলে গেছে। এতে তিনি হাঁটতে পারছিলেন না।
জার্মান সরকারের এ অভিযোগের বিষয়টি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গতকাল বুধবার চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গোয়েন্দা শাখায়ও এই চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়।
চিঠিতে জানানো হয়, কারা কর্তৃপক্ষ যদিও বলেছে, গোরাওতোভিজকে যথেষ্ট সমাদর করা হয়েছে। বাস্তবে গত ৫ মে শেষ হওয়া পাঁচ দিনের রিমান্ডের পরই এসব আঘাতের চিহ্ন তাঁর দেহে দেখা যায়। গোরাওতোভিজের প্রতি এ ধরনের অমানবিক আচরণের কঠোর প্রতিবাদ জানায় জার্মানি।
গোরাওতোভিজের সুরক্ষায় এবং স্বাস্থ্যের প্রতি নজরদারি বাড়াতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানায় জার্মানি। প্রসঙ্গত, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
জানতে চাইলে কাশিমপুর কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক প্রশান্ত কুমার বণিক প্রথম আলোকে বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ যখন তাঁকে রিমান্ডে নেয়, তখনই তিনি এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। পরে তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে আনা হলে চিকিৎসা দেওয়া হয়। মূলত জার্মান সরকারের অভিযোগ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিরুদ্ধে। তারা তাঁর প্রতি অমানবিক আচরণ করেছে।