হাতে গোনা আর কয়েকটি দিন পরেই শেষ হতে যাচ্ছে ইংরেজি ক্যালেন্ডারের আরো একটি সাল। অন্যান্য খাতের মতো দেশের তথ্যপ্রযুক্তি এবং টেলিযোগাযোগ খাতের জন্যেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর ছিল ২০১৮। এ বছরই দেশের কয়েকটি বড় প্রাপ্তি হয়েছে যা বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অন্যরকম পরিচয়ে। বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে সমৃদ্ধির দেশ হিসেবে, প্রযুক্তি বিশ্বে অর্জন করে নিয়েছে নিজেদের একটি জায়গা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সকল অর্জন নিয়ে বাংলাদেশের খবরের ‘টেক সালতামামি’। সারা বছরের এই খাতে ঘটে যাওয়া বড় ঘটনা ও অর্জনগুলোকে নিয়েই লিখেছেন এম. রেজাউল করিম
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ঘটনাসমূহ
মহাকাশে একটুকরো বাংলাদেশ
চলতি বছরের ১১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৪ মিনিট (স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ১৪ মিনিটে) কেপকেনাভেরালের জন কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটের পিঠে মহাকাশে যাত্রা শুরু করে এক টুকরো বাংলাদেশ। এরপর ৩৬ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিরক্ষরেখার ১১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রিতে স্থাপিত হয় দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) বঙ্গবন্ধু-১। আর এরই মধ্য দিয়ে চলতি বছরের অর্জনের তালিকায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাপ্তি।
স্যাটেলাইট মহাকাশে যাওয়ার পর পরীক্ষামূলকভাবে দেশে সম্প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়। সেপ্টেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সরাসরি সম্প্রচার করার পরীক্ষাতেও এটি সফলতা দেখিয়েছে। পরে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দুবাইতে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের সম্প্রচারসহ আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করেছে বাংলাদেশ টেলিভিশন। একই সঙ্গে অন্য কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
উৎক্ষেপণের ছয় মাসের মাথায় গত ৯ নভেম্বর বিকেল ৫টায় ফ্রান্সের থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস কোম্পানির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে স্যাটেলাইটটি বুঝিওয়ে দেওয়া হয়। সরকারের পক্ষে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের দায়িত্ব বুঝে নেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একই অনুষ্ঠানে বিটিআরসি আবার এই স্যাটেলাইটের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয় বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটিডকে (বিসিএসসিএল)।
স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ মূলত ‘কমিউনিকেশন এবং ব্রডকাস্টিং’ ক্যাটাগরির এ স্যাটেলাইট। অর্থাৎ এটি যোগাযোগ এবং সম্প্রচার কাজেই মূলত ব্যবহার করা হবে। এ স্যাটেলাইটে থাকছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার সক্ষমতা। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনে ব্যবহার করবে। আর ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে ভাড়া দেওয়ার জন্য রাখা হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আয় করণে সক্ষম হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিবছর অন্যান্য দেশের স্যাটেলাইট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রায় দেড় কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ ভাড়া হিসেবে পরিশোধ করে। বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হলে এ অর্থ বাংলাদেশেই থেকে যাবে। ফলে বড় অঙ্কের টাকার বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। দেশের বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর স্যাটেলাইট ভাড়া বাবদ ব্যয়ও কমে আসবে। এ ছাড়া স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া যাবে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ। ফলে ব্যান্ডউইথের বিকল্প উৎসও পাওয়া যাবে। এই ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে দেশের দুর্গম দ্বীপ, নদী ও হাওর এবং পাহাড়ি অঞ্চলে স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা চালুও সম্ভব হবে।
বেসিস নির্বাচন
নানা জল্পনা-কল্পনা আর বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে চলতি বছরের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে বিজয়ী হয় আলমাস কবীরের নেতৃত্বাধীন প্যানেল ‘টিম হরাইজন’। নির্বাচনের লক্ষ্যে গত ৪ মার্চ মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৪০ জনের নামসহ একটি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বেসিস নির্বাচন বোর্ড। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার পর নির্বাচনে তিন প্যানেলে ২৬ প্রার্থী এবং অ্যাসোসিয়েট হিসেবে ৫ প্রার্থী অংশ নেন। তবে বেসিসের ১১ সদস্যের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ মার্চ বেসিস নির্বাচন বাতিল করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে বর্তমান কমিটির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর কথা বলে একটি আদেশ দেয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওই আদেশে ৩১ মার্চের নির্বাচন বাতিল করে নতুন পুনঃতফসিল ঘোষণার নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে বেসিস নির্বাচন বাতিলের খবর প্রকাশ হলে সেদিনই বিকাল থেকে বেসিসে ভিড় জমাতে থাকেন প্রার্থী এবং সদস্যরা। তারা সেখানে গিয়ে নির্বাচন বাতিল হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দাবি জানান। এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর এবং সাবেক সভাপতি এবং সরকারের শেষ মেয়াদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, তারা পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ীই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন। এর পরদিন ২৮ মার্চ বেসিসের নির্বাচন বাতিলের জন্য দেওয়া চিঠি প্রত্যাহার করে নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এবারের নির্বাচনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নারী উদ্যোক্তা ও জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুনা শামসুদ্দোহার নেতৃত্বে ‘প্যানেল উইন্ড অব চেইঞ্জ’, ফ্লোরা টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউকের নেতৃত্বে প্যানেল ‘টিম বিজয়’ এবং বেসিসের সাবেক সভাপতি ও মেট্রোনেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলমাস কবীরের নেতৃত্বে ‘টিম হরাইজন’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলো।
কম্পিউটার পণ্যের এমআরপি নীতিমালা বাস্তবায়ন
কম্পিউটার পণ্যে দাম ও বিক্রয়োত্তর সেবা নিয়ে গ্রাহক হয়রানি কমাতে সারা দেশে কম্পিউটার এবং কম্পিউটার যন্ত্রাংশে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) নীতিমালা ও বিক্রয়োত্তর সেবা নীতিমালা বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)। কম্পিউটার এবং কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ বা পণ্য ব্যবসায় অনুমোদিত উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতার স্বার্থ সংরক্ষণ, ব্যবসায়িক উন্নয়ন এবং ক্রেতাসা
# | Cases | Deaths | Recovered |
---|---|---|---|
World | 0 | 0 | 0 |
Bangladesh | 0 | 0 | 0 |
Data Source: worldometers.info |
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জন্য খবরের শিরোনামে রয়েছে চিন। এই দেশেরই এক শহরে প্রথম এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, ...
বিস্তারিতলক ডাউনের মধ্যে পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ভিডিও কল। আর সেই কারণে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ...
বিস্তারিতনিউইয়র্ক: কান ঘেঁষে না হলেও পাশ ঘেঁষে তো বটেই। কেটে গেল ফাঁড়া। পৃথিবীর পাশ কেটে বেরিয়ে গেল প্রায় ২ কিলোমিটার ...
বিস্তারিতকরোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হওয়া নতুন রোগী শনাক্তে অভিনব ব্যবস্থা নিয়েছে চীন সরকার। সম্প্রতি দেশটির কিছু ...
বিস্তারিত