নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়ায় এক জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত তামিম চৌধুরী সহ অন্তত তিন জন নিহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
পাইকপাড়ার ওই বাড়িটির কাছাকাছি এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, পুরো এলাকাটিতে প্রচুর পুলিশের উপস্থিতি। বাড়িটিতে যাবার পথটি দুদিক থেকে বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ।
মৃতদেহগুলো এখনো বাড়িটির ভেতরেই আছে, তবে আজ আর একটু পরই তা বের করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতদের মধ্যে একজন যে তামিম চৌধুরীই, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে – জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
পুলিশ কিছু সময় আগে নিহত তামিমের মৃতদেহের একটি ছবিও সংবাদমাধ্যমগুলোকে দিয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেল, গভীর রাতে পুলিশ প্রথমে বাড়িটি ঘিরে ফেলে। তবে স্থানীয় লোকেরা ব্যাপারটি টের পান সকালের আলো ফোটার পর।
পাইকপাড়ায় অবিযানের সময় পুলিশ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানালেন, সকাল সাড়ে ন’টা একটু আগে তারা প্রথম গুলির শব্দ শোনেন। ঘন্টাখানেক ধরে প্রচুর গোলাগুলি হয়, কিচু বোমার শব্দও পাওয়া যায়, বলেন তিনি।
আরেকজন এলাকাবাসী জানান, জুলাই মাসে ও বাড়িটি ভাড়া নেয় কয়েকজন যুবক, পাড়ার লোকদের কাছে তারা নিজেদের ওষুধ কোম্পানির কমর্চারী বলে পরিচয় দেয়।
গুলশান হামলার পর পরিকল্পনাকারী হিসেবে কানাডিয়-বাংলাদেশী নাগরিক তামিম চৌধুরীকে পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারে তথ্য দেয়ার জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ মহাপরিদর্শক শহিদুল হক বলেন, অভিযানের আগে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোঁড়ে। জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ না করায় সকাল নাগাদ পুলিশের সোয়াত বাহিনীসহ পুলিশ সদস্যরা অভিযান শুরু করে।
এর আগে সম্প্রতি ঢাকার কল্যাণপুরে এক জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নয় জন জঙ্গি নিহত হয়।