‘মা মারা গেল’—এই তিনটি শব্দ লিখে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানো হতো। যার কাছে পাঠানো হতো, তার কাছে এই নম্বরটি অচেনা। কিন্তু মা মারা গেছে—এটি শুনে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়তেন। সঙ্গে সঙ্গে ফিরতি কল করতেন ওই নম্বরে। ওপাশ থেকে শুনতেন হাউমাউ কান্না। হতবিহ্বল এই ব্যক্তি তখন জানতে চাইতেন, এ নম্বরটি কোনো আত্মীয় কিংবা বন্ধুর কি না। চটজলদি এপাশ থেকে স্বজন সেজে জড়ানো কণ্ঠে কথা বলতেন। বলতেন দ্রুত দাফন-কাফনের কথা। এ জন্য টাকা না থাকার কথাও বলা হতো। একপর্যায়ে টাকা পাঠানোর জন্য দেওয়া হতো বিকাশের নম্বর। আর এভাবেই মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারকেরা। পরে এদের আর হদিস মিলত না।
এমন এক প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। এঁরা হলেন সাইফুল ইসলাম, আশরাফুল আলম ও শরিফুল ইসলাম। ২২ আগস্ট এই তিনজনকে পঞ্চগড় জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঁদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিং করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এভাবে টাকা পাঠানোর আগে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, বিকাশের কোনো কোনো এজেন্ট এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে। এদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয়েছে।