সুললিত কণ্ঠে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতকারী সুরাইম সুদাইসের নাম অনেকেরই জানা। পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম শাইখ আবদুর রহমান সুদাইসের কণ্ঠে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শুনতে অনেকেই মাগরিবের নামাজ আদায় করতে আসেন কাবা শরিফে। কাবা শরিফে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য নির্দিষ্ট ইমাম ও মুয়াজ্জিন রয়েছেন। তাঁদের বিকল্পও আছেন।
কাবা শরিফের (মসজিদুল হারাম) বাইরে চারদিকে প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে মেঝেতে মার্বেল আর গ্রানাইট পাথর বসানো। চারপাশে রয়েছে ফ্যান। মসজিদুল হারামের ভেতরে স্থান সংকুলান না হলে যাতে এ চত্বরে নামাজ আদায় করা যায়, তাই এ ব্যবস্থা। বিকেলের পর থেকে হাজিদের অনেকেই এখানে বসেন। কেউ খাবার খান, কেউবা জমজমের পানি নেন আর শিশুরা ব্যস্ত থাকে খেলায়। যাঁরা কেনাকাটা করেছেন তাঁরা বাইরের চত্বরে নামাজ আদায় করেন। কারণ, মালামাল নিয়ে মসজিদের ভেতরে ঢোকা যায় না।
মসজিদ চত্বরের পাশে একাধিক জারে জমজমের পানি রাখা আছে। এ পানির জন্য কোনো অর্থ লাগে না। সৌদি আরবে প্রতি লিটার পানির দাম দুই রিয়াল।
হাজিরা সাধারণত আসরের নামাজের আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে এখানে আসেন। আসর, মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরেন। বিভিন্ন দেশের, নানা বর্ণ ও নানা ভাষার লোক এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন।
মসজিদুল হারামের প্রবেশদ্বারে সঙ্গীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আতাউর রহমান মানিক। ঢাকার কাঁঠালবাগানের ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের এই বাসিন্দা বললেন, ‘বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম দিকে যে কেবলা জেনে এসেছি, সেই কেবলার কাছে নামাজ পড়ার সুযোগ পেয়েছি। এ জীবনে আমার আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।’
নামাজ শেষ হলে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মুসল্লিরা পাশের জনের সঙ্গে করমর্দন করেন। কেউ কেউ বোতলে ভরে জমজমের পানি বাসায় নিয়ে ফেরেন। ভারত ও তুরস্ক থেকে আসা হাজিরা নামাজ শেষে দ্রুত মসজিদের বাইরে ভূগর্ভস্থ বাসস্ট্যান্ডে যান। বাসে জায়গা পেতে তাঁদের এই ব্যস্ততা। তাঁরা আসেনও বাসে করে।